এবছর আগস্টের শেষের দিকের ভয়াবহ বন্যায় দেশের পূর্বাঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। বন্যার্তদের পাশে দাড়াতে সারাদেশে বিভিন্ন জায়গা গণত্রাণ সংগ্রহের কর্মসূচি ঘোষণা করে স্বৈরাচার সরকার পতনে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের এই কর্মসূচিতে সারা দিয়ে এগিয়ে আসেন হাজার হাজার মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নগদ অর্থসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসেন হাজার হাজার মানুষ। গণত্রাণ সংগ্রহের প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায়,সংগৃহীত হয় ২৯ লাখ ৭৬ টাকাসহ বিপুল ত্রাণ সামগ্রী।
২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচিতে সংগৃহীত হয় ১১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯ টাকা।এই তথ্য জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য রিজওয়ান আহমেদ রিফাত। এছাড়াও ৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান সংগৃহীত টাকার ১ কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার ৭৮৪ টাকা ব্যয় হয়েছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। কেউ কেউ বলছেন বাকি টাকার হিসাব কোথায় আবার বেসরকারি সংবাদ মাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের বরাত দিয়ে ভুয়া ফটোকার্ড এডিট করে প্রপাগাণ্ডা চালানো হচ্ছে। ফটোকার্ডে লিখা হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে কিন্তু তথ্য অনুযায়ী ১২ কোটি টাকা সংগৃহীতই হয়নি। যমুনা টেলিভিশন এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি।
অর্থ আত্মসাৎ সম্পর্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য রেজওয়ান আহমেদ রিফাত 'আজকের পত্রিকাকে' জানান, ' গণত্রাণ কর্মসূচিতে মোট সংগৃহীত ১১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯ টাকার মাঝে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার ৭৯৪ টাকা ব্যয় হয়েছে। অবশিষ্ট ৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭৫ টাকা জনতা,সোনালী এবং ইসলামী ব্যাংক এবং বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে আছে। তবে সম্পূর্ণ সংগৃহীত অর্থ এবং ব্যায়ের অডিট কার্যক্রম চলমান আছে,অডিট শেষ হলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে। অতি দ্রুত (৩-৪ দিনের মধ্যে) অডিট শেষ হবে।'
ব্যয়ের হিসাবের ক্ষেত্রে ৪ সেপ্টেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় মানুষের দেয়া ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি কিছু পণ্য কেনা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দুপুরের খাবারসহ অন্যান্য খরচও হয়েছে।