২০১৩ সালে সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে সমাবেশ করেছিলো ইসলামী ছাত্র শিবির। এর পর আজ ২১ সেপ্টেম্বর দীর্ঘ ১১ বছর পর প্রকাশ্য রাজনীতিতে এলো।
আগামী রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হওয়ার আগে ক্যাম্পাসের ১০ ছাত্র সংগঠনের সাথে মতবিনিময় করে ঢাবি প্রশাসন। উপচার্য লাউঞ্জে দুই দফার এই মতবিনিময় সভার প্রথম দফায় অংশ নেয় ইসলামী ছাত্রশিবির। এছাড়াও দুই উপ-উপাচার্য,কোষাধ্যক্ষসহ প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন এ সভায়।
এক ফেসবুক পোস্টে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদিক কায়েম নিজেকে ছাত্র শিবিরের সভাপতি দাবি করেন। এর পর এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা, অবাক হয়েছে অনেকে।এর মধ্য দিয়ে ঢাবিতে প্রকাশ্যে এলো ছাত্রশিবির।
এমন এক সময় প্রকাশ্যে এলো তারা যখন ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হত্যা কান্ডকে কেন্দ্র করে ঢাবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঢাবি শিবির সভাপতি জানান (প্রথম আলো), তারা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চায় না, উপাচার্যের কাছে ছাত্ররাজনীতির সংস্কার চেয়েছেন। ছাত্রলীগ এবং ১৪ দলীয় জোটভুক্ত ছাত্রসংগঠনের রাজনীতি করার অধিকার নেই। তারা ব্যাতিত বাকি ছাত্রসংগঠনগুলো আমরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে সুস্থধারার রাজনীতি করবো।
তবে এ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে ছাত্রশিবিরকে সভায় ডাকাতে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯০ সালের পরিবেশ পরিষদের চুক্তি বাতিল হয়ে গেলো? এ নিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি সভাপতি সোহাইল আহমেদও প্রশ্ন তুলেছেন।
দীর্ঘ ১১ বছর পর প্রকাশ্যে আসলেও প্রায় ১৭ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বৈঠক করলো ছাত্রশিবির।