ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩ ছাত্রকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রক্টোরিয়াল টিম ভিডিও দেখে তাদের সনাক্ত করে এবং আটক করে থানায় নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আটককৃতরা হলেন জালাল আহমেদ, মোহাম্মদ সুমন এবং অন্য একজনের নাম জানা যায়নি। তাদের দুইজনকে ফজলুল হক হল থেকে এবং অপরজনকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে মোবাইল চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যাক্তিকে গণপিটুনি দেয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জানা যায় রাত ৮-৯ টার দিকে আটক করার পর গেস্ট রুমে নিয়ে ১০ টা পর্যন্ত মারধর করে শিক্ষার্থীরা।পরে ক্যান্টিনে ভাত খাইয়ে ভিডিও ধারণ করে আবার নির্যাতন করা হয়।
ঘটনার ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নিন্দার ঝড় বইতে থাকে এবং অভিযুক্তদের বিচারের দাবি করে অনেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থী তোফাজ্জল হোসেনের পক্ষ হয়ে আইনী লড়াইয়েরও ঘোষণা দেন।
এছাড়াও একই দিনে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়েও গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকের দাবি যে অন্যায়ই করুক দেশে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হওয়া উচিত। কোনোভাবেই আইন হাতে তুলে নেয়া উচিত নয়। তাছাড়া দেশের দুই শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে এইরকম জঘন্য ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ছে শিক্ষা ব্যাবস্থা।
তবে এর মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনের উপর শ্রদ্ধা রেখে অভিযুক্তদের পুলিশে সোপর্দ করেছে ৩ শিক্ষার্থীকে।