ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ১৯ জুলাই শাবিপ্রবি গেইটে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ হামলার অভিযোগে শাবিপ্রবির ৩১ শিক্ষার্থীসহ মোট ৩৯ জনের বিরুদ্ধে ২২ সেপ্টেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতে আহত মারুফ আহমেদের পক্ষ থেকে মামলা করেছে তার চাচা মো. কামাল পারভেজ (৪৩)।
মামলায় শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং বেশ কয়েকজন নেতা সহ আসামি করা হয়েছে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীকে।
নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। মামালায় আসামি হওয়া অনেক শিক্ষার্থী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন,কেউ কেউ উল্লেখিত ঘটনা(১৯ জুলাই) এর আগেই সিলেট ত্যাগ করেন।বাস/ট্রেনের টিকিটসহ প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে।
মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেনের নাম থাকায় অনেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সন্দেহের চোখে দেখছেন।তবে এ নিয়ে শাবিপ্রবি এবং অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিফ এক ফেসবুক পোস্টে জানান তাদের কেউ এই বিষয়ে অবগত নয়।
সাক্ষী হিসেবে নাম থাকা ফয়সাল হোসেন জানিয়েছে ২ নং সাক্ষী হিসেবে যে মামলা হয়েছে সেটি তার অবগতির বাইরে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে এর বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা নিতেও প্রস্তুত তিনি।
মামলায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী ছাড়াও দক্ষিণ সুরমা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি,ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতাকে আসামী করা হয়।