জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর থেকে আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড নিয়ে জনমনে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। মূলত তেমন আলোচনায় না থাকা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহফুজ আলমকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী করার পর থেকে আলোচনায় মাস্টারমাইন্ড শব্দটি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নিয়োগের পর থেকে মাহফুজ আলমকে আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বলা শুরু করে অনেকে। সেই পালে হাওয়া দিয়েছে ড. ইউনুসের বিশ্বমঞ্চে ব্রেন বিহাইন্ড দ্যা আন্দোলন বলে মাহফুজ আলমকে পরিচয় করিয়ে দেয়া।
এর আগে মাস্টারমাইন্ড নিয়ে অনেকে আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও এবার সেটা আরো একবার আলোড়ন সৃষ্টি করলো।কেউ কেউ বলেন আন্দোলনের সবাই মাস্টারমাইন্ড। অন্যতম ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী কিছুদিন আগে এ প্রসঙ্গে বলেন, " জুলাই বিপ্লবের মাস্টারমাইন্ড আল্লাহ।"
তবে এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং অন্তর্বতীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড শব্দটির সাথে একমত নন। নাহিদ ইসলামের মতে এই আন্দোলন একক কোনো আন্দোলন ছিলো না,সাধারণ জনগণ এটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।এই আন্দোলন ছাত্র জনতার আন্দোলন ছিলো,এখানে অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও ছিলেন।একটা সময় আন্দোলন পরিচালনা করতে অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন,যাকে মাস্টারমাইন্ড বলা হচ্ছে তিনিও বিশেষভাবে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন আমাদেরকে। তিনি বলেন, " এই আন্দোলনকে আমরা বলছি লিডারলেস,যেটার একক কোনো নেতৃত্ব ছিলো না। এখানে যাকে বলা হচ্ছে তিনি এবং আমরা কেউই মাস্টামাইন্ড শব্দটির সাথে একমত নয়"
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বাংলাদেশী কমিউনিটির এক টেলিভিশনে সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনের এক অনুষ্টানে এ বিষয় নিশ্চিত করেন মো: নাহিদ ইসলাম।
অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলামকে চট্টগ্রামে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস এবং নাহিদ ইসলামকে কটুক্তির অভিযোগে করা মামলা নিয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, " যিনি মামলা করেছেন তাকে আমি চিনি না,আইন উপদেষ্টার সাথে আমি কথা বলেছি যেন মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা না হয়।"
এছাড়াও এদিন তিনি সাইবার সিকিউরিটি এক্ট আইন সংশোধন করা হবে বলে জানান।