সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আতংক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। ২২ সেপ্টেম্বর দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে অনেক নির্দোষ শিক্ষার্থীকে। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) এর প্রতিবাদে "প্রতিবাদ সমাবেশ" করেছে শিক্ষার্থীরা।
গত ২২ সেপ্টেম্বর শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে আসামী করে মোট ৩৯ (যার মধ্যে ৩১ জন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী) জনের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। ১৯ আগস্ট শাবিপ্রবি গেইটে হামলার অভিযোগে মামলাটি করেন মো. কামাল পারভেজ। মামলায় সাক্ষী হিসেবে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেনের নাম উল্লেখ করা হলেও, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই নির্দোষ দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের কেউ কেউ আন্দোলনের সাথে সরাসরি সংযুক্ত ছিলো বলে নিশ্চিত করেছেন অনেকে। আবার মামলায় উল্লিখিত ঘটনার (১৯ তারিখ) আগেই সিলেট ছেড়েছেন বলে বাস,ট্রেনের টিকিট দেখান এবং বিষয়টি তাদের সহপাঠীরাও নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখা পরিসংখ্যান বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী অন্তিক চৌধুরী বলেন, "মামলায় যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাদের অনেকেই জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনে সামনের সারিতে অংশগ্রহণ করে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওয়ার ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি হয়েছে,এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটা স্বার্থান্বেষী মহল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ক্যাম্পাস বিভিন্ন অনিয়ম এবং সংস্কারে কথা বলা অনেকের নাম এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।"
এছাড়াও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবির নেতৃত্বদানকারীদের একজন ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুবুল ইসলাম পবন বলেন, "যে হত্যা মামলা হয়েছে এই মামলায় আমার অনেক সিনিয়র-জুনিয়র ভাই এবং বন্ধু,আমরা যারা একসাথে রাজপথে থেকে এই চব্বিশ বিপ্লবের আন্দোলনে করেছিলাম, তাদের অনেকের নাম উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।আমরা আজকের এই সমাবেশ থেকে প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের নাম তুলে নেয়ার অনুরোধ করছি।"
এছাড়াও এক শিক্ষার্থী জানান, "কেউ ভয়েস রেইজ করলেই মামলা দেয়া হচ্ছে। আজকে আমার ভাই,বন্ধুদের নামে হয়েছে আগামীকাল আপনার-আমার নামে হবে না তার নিশ্চয়তা কে দিবে?"
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে উপ-উপাচার্যের সাথে দেখা করতে যান।
উল্লেখ সমালোচিত এ মামলা নিয়ে শিক্ষার্থীদরা উদ্বেগ জানিয়েছে। আসলে এই মামলার পিছনে কারা তা এখনো সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি।