সম্প্রতি পতাকা কান্ডের পর নতুন করে উগ্রপন্থিদের মাথাচাড়া নিয়ে সরব সর্বস্তরের জনগণ। বিভিন্নভাবে ইসলাম পন্থীদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর সহ বিভিন্ন সংগঠনের হঠাৎ নাড়াচাড়া দেয়ার পিছনে কাজ করছে বিশাল ষড়যন্ত্র।
ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে থেকেই ছাত্র অ্যাআন্দোলনকে জঙ্গি গোষ্ঠীর অভ্যুত্থান বলে প্রচারণা চালিয়ে আসছে ভারতীয় বেশ কিছু মিডিয়া। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ইসলামন্থী/জংগীদের হাতে চলে গেছে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারতীয় মিডিয়াগুলো।
তাই সম্প্রতি ইসলামপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের সক্রিয়তা এবং পতাকা বিভ্রান্তি এসবে নতুন মাত্রা যোগ করছে।ধারণা করা হচ্ছে বিশেষ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা সংগঠনগুলো এসবে উস্কানি দিচ্ছে।
বন,জার্মানি থেকে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম 'দ্যা মিরর এশিয়াকে' বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের এক নেতা বলেন, "গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ পদে শুধু পরিবর্তন আনা হয়েছে,মাঝারি এবং নিচুর সারির কর্মকর্তারা ইসলামপন্থীদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।' তারা এসব ইসলামপন্থীদের উস্কানি দিয়ে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে এখনও মাঠে নামার সুযোগ বলে বোঝানোর চেষ্টা করছে এবং গোয়েন্দাদের থেকে সমর্থন নিশ্চিত করবে বলে আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টায় লিপ্ত।
আওয়ামী সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াত কিংবা অন্য মতাদর্শের কোনো কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি বললেই চলে,ছাত্রলীগ থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরাই ডোমিনেন্ট করতো। এখনো তাদের বেশিরভাগ বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত রয়েছে।তার পূর্বের ন্যায় নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন এবং ইউনুস সরকারকে ব্যার্থ প্রমাণ করতে নিয়োজিত রয়েছে।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, " সরকার পতনের পর থেকে চরম ইসলাম পন্থীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এমন বার্তা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ব্যাস্ত। এতে আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ে বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ভারত,আমেরিকার কাছে পজেটিভ ধারণা সৃষ্টি হবে এবং ভুলবুঝাবুঝির অবসান ঘটবে বলে তাদের বিশ্বাস।"
এছাড়াও আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব ইসলাম এবং চরম ইসলাম পন্থীদের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার। তাই একবার এই ধারণা দাড় করিয়ে দিতে পারলে আওয়ামী লীগ সরকারের পুনর্বাসন খুব সহজ হয়ে যাবে।এবং ইসলামি দল গুলোকে বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে।
গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেও ব্যার্থ হচ্ছে গোয়েন্দারা। সংখ্যা লঘু নির্যাতন, মাজার ভাঙ্গা,পাহাড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি সব কিছুতেও ইন্ধন যুগিয়েছে প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনের কালো পতাকা নিয়ে বিতর্কও গোয়েন্দাদের উস্কানিতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের মদদ না থাকলে রাজধানীতে এভাবে একাধিক জায়গায় পরিকল্পিত শো-ডাউন দেয়া সম্ভব নয় বলে ধারণা অনেকের।