শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুলেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।বরাবরের মতোই তিনি চুপচাপ থাকতে পছন্দ করেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে নেটিজেনদের রয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।শেখ হাসিনার পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন,শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রমাণ স্বরুপ তার কাছে কোনো নথিপত্র বা দলিল নেই তবে তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।
১৯ অক্টোবর প্রকাশিত রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'জনতার চোখে' প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমানকে এসব কথা জানান রাষ্ট্রপতি।
সাংবাদিক মতিউর রহমান বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্রের কোনো অনুলিপি না পাওয়ায় রাষ্ট্রপতিকে জিজ্ঞেস করেন।তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যেখানে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র সংরক্ষিত থাকে সেখানেও খোজ নিয়েছেন কিন্তু কোনো খোঁজ পাননি।
রাষ্ট্রপতির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বলেন, তিনি অবেকবার পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছেন।
তিনি বলেন, " চারদিকের কি হতে যাচ্ছে,অস্থিরতা কিছু জানি না। আমি গুজবের উপর নির্ভর করতে পারিনা তাই সামরিক সচিবকে খোঁজ নিতে বলেছি তবে সেও কোনো খবর দিতে পারেনি। টেলিভিশনেও চোখ রাখছি,এক পর্যায়ে শুনলাম তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেলেন আমাকে কিছু বলে যাননি।সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আসার পর মন্ত্রীপরিষদ সচিব পদত্যাগপত্রের কপি নিতে আসলে আমি বলি আমিওতো খুজছি।"
রাষ্ট্রপতি আলাপচারিতার সময় বলেন প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন এটাই সত্য এবং এ বিষয়ে আর বিতর্কের সুযোগ নেই। এ প্রশ্ন যাতে আর না উঠে এটি নিশ্চিত করতে আমি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছি।
এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ৮ আগস্ট আপিল বিভাগ থেকে মাতামত দেয়া হয়। বলা হয় সাংবিধানিক শূণ্যতা দূর করতে এবং নির্বাহী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনার উদ্দেশ্যে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে এবং রাষ্ট্রপতি সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীকে শপথ পাঠ করাতে পারবেন।
এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ৮ আগস্ট আপিল বিভাগ থেকে মাতামত দেয়া হয়। বলা হয় সাংবিধানিক শূণ্যতা দূর করতে এবং নির্বাহী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনার উদ্দেশ্যে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে এবং রাষ্ট্রপতি সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীকে শপথ পাঠ করাতে পারবেন।